মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
মৎস্য ও লবণ সমৃদ্ধ উপকূলীয় এলাকা গোমাতলীবাসীর যেন দুঃখের শেষ নেই। একের পর এক বিপর্যয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আক্রান্তে লন্ডভন্ড হওয়ার পর আবারো পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে গেলে গোমাতলীর। গতকাল এবং এর আগের দিনের প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাসে বৃষ্টির পানিতে আবারো পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন গোমাতলীর শত শত পরিবার। বিস্তীর্ণ এলাকার যেদিকে দৃষ্টি যায় সেদিকে কেবল পানি আর পানি থৈ থৈ করছে। স্থানীয় কাঁচা, সেমি পাকা ও পাকাঘর সাগরের পানিতে নিমজ্জিত। স্থানীয় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পাশর্^বর্তী মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরের পানি এতদ এলাকায় ঢুকে সয়লাব হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পানিবন্দী জীবন যাপন করছেন। পারিবারিক প্রাত্যহিক কাজ তথা রান্নাবান্নার কাজ করতে পারছেন না অনেক গৃহস্থ। গরু-ছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে তাদের যন্ত্রণার শেষ নেই। বাড়ীতে পানি ঢুকে অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বৃষ্টি যতই বাড়ছে উক্ত এলাকায় পানির পরিমাণ ততই বাড়ছে বলে জানান ভূক্তভোগী মুবিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ঠ দূর্ভোগে এলাকার শত শত পরিবার মারাত্মক দূর্ভোগে রয়েছেন। ‘মোরা’ বয়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ‘মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মাঝে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও এতদ এলাকার উক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদকে। তিনি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে গোমাতলীর লোকজনকে কিছুটা হলেও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. ক. (অব.) ক’দিন আগে গোমাতলীতে ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ মেরামত কাজ উদ্বোধন করলেও সাগর ও বৃষ্টির পানিতে উক্ত কাজ অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার লোকজন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ীঘরের বাহিরে যেতে না পারায় সাংসারিক ঝামেলা পোহাচ্ছেন। উক্ত এলাকায় সরকারী ও বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী থাকলেও তাদের কৃপা দৃষ্টি এ লন্ডভন্ড এলাকার দিকে নেই বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের। অন্যদিকে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডটি পুননির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না জনগণ। তার কারণ হচ্ছে সামান্য বৃষ্টিতে পুরো রাস্তা বিঘত পানিতে সয়লাব হয়ে উঠে। রাস্তার উভয় পাশের্^র দোকানীরা তাদের দোকানের সম্মুখস্থ জায়গা উঁচু করে ফেলায় এবং রাস্তার পাশর্^স্থ ড্রেন সচল না থাকায় বৃষ্টির জমানো পানি রাস্তায় থেকে যাচ্ছে। এতে করে বাজারে আগত সর্বসাধারণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে এ সড়কটি প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কক্সবাজার সদর উপজেলা অফিস। রাস্তাটি নির্মিত হতে না হতেই এর সুফল নিয়ে জনমনে শোনা যাচ্ছে নানা কথাবার্তা।
#########
জালালাবাদ বিএনপি নেতার উপর হামলা
মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার
জালালাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পোকখালী ইউনিয়নের মুসলিম বাজার থেকে নিজ বাড়ী বাহারছড়ায় যাওয়ার পথে দূর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা বাহারছড়া রাস্তায় তার গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে এ রিপোর্ট লিখার সময় আহত ইউনিয়ন বিএনপির এ সাংগঠনিক সম্পাদক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে তার উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম।
পাঠকের মতামত: